
অস্বস্তিতে ভোগেন মাধুরী
বলিউডে মাধুরী দীক্ষিত তখন নবাগত নায়িকা। ঝুলিতে ভালো কোন ছবি নেই। সে সময় বলিউড সুপারস্টার বিনোদ খান্নার বিপরীতে ‘দয়াবান’ ছবিতে চুক্তি করলেন মাধুরী। বলছি প্রায় ২১ বছর আগের কথা। ফিরোজ খানের এই ছবিতে ২১ বছর বয়সের মাধুরীর বিপরীতে ৪২ বছরের বিনোদের রসায়ন কেমন জমবে তা নিয়ে মাধুরী সন্দিহান ছিলেন। যদিও ছবিটি মুক্তির পর দর্শক আবিস্কার করলেন পর্দায় তাদের প্রেম বেশ জমেছে । কারণ সে ছবিতেই যে অর্ধেক বয়সের মাধুরীর ঠোঁটে গভীর চুমো খেয়েছিলেন বিনোদ খান্না। তাদের লিপ-লক নিয়ে সে সময়ে বেশ হইচই পড়ে যায়।
চুমো বাদেও কিছু প্রেমময় দৃশ্যে দেখা গিয়েছিলো দুজনকে। দুজনের প্রেম দেখতে অসম ঠেকলেও দর্শক ছবিটি সাদরে গ্রহণ করেছিলো। ছবির ‘আজ ফির তুমপে প্যায়ার আয়া হ্যায়’ গানে মাধুরী ও বিনোদের আবেগঘন দৃশ্য দেখার জন্যই দর্শক বারবার ছবিটি দেখতে গিয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। এরপর অবশ্য মাধুরীকে নিজের অবস্থানের জন্য বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। সে বছরই ‘তেজাব’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নিজের চাহিদা বাড়িয়ে নেন এই বলিউড ডিভা।
পরবর্তী সময়ে সে ছবি করার জন্য মাধুরীর গলায় অনুশোচনা ঝরেছে। নিজের অবস্থান সুদৃঢ় হলে তিনি ছবিটি করতেন না, নিদেনপক্ষে সে দৃশ্য চিত্রনাট্য থেকে বাদ দিতে বলতেন। কিন্তু আশির দশকের ঐ সময়ে মাধুরীর পক্ষে সিনিয়র কোন অভিনেতা বা পরিচালকের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই মাধুরীও পারেননি। বাধ্য হয়েই বিনোদের বুকের নিচে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন! মজার ব্যাপার হলো,‘দয়াবান’ মুক্তির নয় বছর পর ১৯৯৭ সালে বিনোদের ছেলে অক্ষয় খান্নার প্রেমিকার চরিত্রে দেখা গেছে তাকে ‘মোহাব্বত’ ছবিতে। এজন্যই হয়তো এ সময়ে এসে অক্ষয়ের বাবা বিনোদের সাথে চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে মাধুরীর এখন এত অস্বস্তি।
প্রসঙ্গত, বিনোদ খান্না ২০১৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষকৃত্যে অনুষ্ঠানে স্বামীসহ এসেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।